লোকোমোটর অ্যাটাক্সিয়া
লোকোমোটর অ্যাটাক্সিয়া: কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের গুরুতর একটি রোগ যার ফলে ঠিকমতো হাঁটতে পারেনা বারবার পড়ে যায়,সিফিলিস দ্বারা এই রোগ সৃষ্টি হয় এবং মেরুদণ্ডের পৃষ্ঠীয় কলামগুলির ডিমাইলিনেশন হওয়ার ফলে এই রোগটি বোঝা যায়।
লক্ষণ
অ্যাটাক্সিয়া সময়ের সাথে সাথে বাড়তে পারে বা হঠাৎ হতে পারে। অ্যাটাক্সিয়া বিভিন্ন স্নায়বিক ব্যাধিগুলির লক্ষণ গুলো:
দুর্বল হাত পায়ের নিয়ন্ত্রণ
অস্থিরভাবে হাঁটা বা পা প্রশস্ত রেখে হাঁটা
দুর্বল ভারসাম্য
সূক্ষ্ম মোটর কাজের সাথে অসুবিধা, যেমন খাওয়া, লেখা বা শার্টের বোতাম লাগানো
বক্তৃতায় পরিবর্তন
অনিচ্ছাকৃত চোখের সামনে পিছনে নড়াচড়া (নিস্টাগমাস)
গিলতে অসুবিধা
কারণসমূহ
আপনার মস্তিষ্কের অংশের ক্ষতি যা পেশী সমন্বয় নিয়ন্ত্রণ করে (সেরিবেলাম) বা এর সংযোগগুলি অ্যাটাক্সিয়া হতে পারে। মস্তিষ্কের গোড়ায় অবস্থিত সেরিবেলাম ব্রেনস্টেমের সাথে সংযোগ স্থাপন করে। সেরিবেলাম ভারসাম্য, চোখের নড়াচড়া, গিলতে এবং বক্তৃতা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। অ্যাটাক্সিয়া কারণগুলির তিনটি প্রধান গ্রুপ রয়েছে: অর্জিত, অবক্ষয়জনিত রোগ এবং বংশগত কারণ।
অর্জিত কারণ:
মদের নেশা,ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া,শরবিষ।ভিটামিন ই, ভিটামিন বি-১, ভিটামিন বি-১২ বা থায়ামিন না পেলে অ্যাটাক্সিয়া হতে পারে।ভিটামিন B-6 এর ঘাটতি বা আধিক্যও অ্যাটাক্সিয়া হতে পারে।থাইরয়েড সমস্যা।স্ট্রোক।মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস।অটোইম্মিউন রোগ.সংক্রমণ।কোভিড-১৯ সংক্রমণ।প্যারানিওপ্লাস্টিক সিন্ড্রোম।মস্তিষ্কে অস্বাভাবিকতা।মাথায় আঘাত।সেরিব্রাল পালসি ইত্যাদির কারণে হয়ে থাকে।
বংশগত কারণ:
কিছু ধরণের অ্যাটাক্সিয়া এবং কিছু অবস্থা যা অ্যাটাক্সিয়া সৃষ্টি করে তা বংশগত।
জন্মগত সেরিবেলার অ্যাটাক্সিয়া। এই ধরনের অ্যাটাক্সিয়া জন্মের সময় উপস্থিত সেরিবেলামের ক্ষতির ফলে হয়।
উইলসনের রোগ। এই অবস্থার মানুষদের মস্তিষ্ক, লিভার এবং অন্যান্য অঙ্গে তামা জমা হয়। এটি অ্যাটাক্সিয়া এবং অন্যান্য স্নায়বিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
চিকিৎসা:
এই রোগের চিকিৎসা কমপ্লেক্স হোমিওপ্যাথি ও বায়োকেমিক চিকিৎসার মাধ্যমে হয়ে থাকে। কমপ্লেক্স হোমিওর মাধ্যমে রুগীর গতি সঞ্চালন আসতে নিয়ন্ত্রিত হয় আর নার্ভের দুর্বলতা আর ভিটামিন এর অভাব ইত্যাদি নিয়ন্ত্রিত হয় বায়োকেমিক ঔষধ এর মাধ্যমে। এই পদ্ধিতির চিকিৎসার মাধ্যমে রুগী আসতে আসতে স্বাভাবিক ভাবে হাঁটতে শুরু করে, কিন্তু দীর্ঘদিন ধৈর্য সহকারে চিকিৎসা নিতে হবে। তাই এই দুই পদ্ধতিতে অভিজ্ঞ ডাক্তারের কাছে গিয়েই চিকিৎসা নিলে রুগী আসতে আসতে সুস্থ হয়ে যাবে।
লেখক: ডাঃ রাজা সেখ (মুহাম্মদ রাযা কাদেরী)
Dr. Raja Sk (Muhammad Raza Qadri)
Website: https://shifakhana.com
YouTube: https://youtube.com/shifakhana
Facebook: https://facebook.com/shifakhana