লিভারের রোগ
লিভার দেহের একটি প্রয়োজনীয় অঙ্গ। এই জন্য সবসময় লিভারের প্রতি য নেওয়া দরকার। লিভারের দুর্বলতা, পিত্তের কম নিঃসরণ, লিভারের প্রদাহ ও লিভারের বৃদ্ধিযুক্ত অবস্থা প্রভৃতি লিভারের রোগ সর্বদাই দেখা যায়। লিভার এবসেস, ক্যানসার ও সিরোসিস, কমলা রোগ প্রভৃতি না হলে কখনও লিভারের রোগ হয় না। বেশিরভাগ সময় দেখা যায় দেহে সঞ্চিত বিভিন্ন বিষের সাথে লড়াই করেই লিভারটি খারাপ হয়ে পড়ে। এইজন্য যে সকল খাদ্যের দ্বারা দেহের দোষমুক্ত ও রক্ত পরিষ্কার হয় তাই লিভার ও স্নায়ু প্রভৃতি অন্যান্য যন্ত্রের মত লিভারটি ভাল রাখার উপায় দেহটিকে ভাল করা।
এইজন্য রোগীর যথেষ্ট পরিমাণ ফল, ফলের রস, স্যালাড ও কাঁচা শাকের রস গ্রহণ করা দরকার। এই সকল পথ্যের উপর যত বেশি জোর দেওয়া যায়, লিভারটি তত শীঘ্র সুস্থ হয়ে ওঠে।
লিভার হতে নিঃসৃত পিত্তরসের প্রভাবেই চর্বিজাতীয় খাদ্যের পরিপাক হয়। কিন্তু লিভারের রোগে যখন যথেষ্ট পিত্ত উৎপন্ন হয় না, তখন চর্বিজাতীয় খাদ্য গ্রহণ করলে তা দেহের কাজে আসে না এবং অস্ত্রের ভিতর পচে ওঠার ফলে দেহে বিষই উৎপন্ন করে থাকে। লিভারের রোগের প্রধান পথ্যই শর্করাজাতীয় খাদ্য। লিভার খারাপ হলে প্রতিদিন যথেষ্ট পরিমাণ আলু, ওল, মানকচু সিদ্ধ, খেজুর, পেঁপে প্রভৃতি মিষ্টি ফল খাবেন। মধু প্রভৃতি শর্করা জাতীয় খাদ্য লিভারটিকে রক্ষা করে। এইজন্য খাদ্যের শতকরা অন্তত ১০ ভাগ প্রোটিন গ্রহণ করা উচিত। লিভারের অসুখে হালকা ধরনের খাদ্য দরকার।
পুরানো চালের ভাত, বাটার টোস্ট, খই এই রোগের খুব ভাল পথ্য। এই রোগের ক্ষেত্রে লুচি, কচুরি, সিঙ্গাড়া, ঘি, তেল প্রভৃতি বর্জন করা উচিত। লিভারের রোগের আরোগ্য করতে হলে খাদ্য নিয়ন্ত্রণ প্রধান কাজ। রোগীর কখনই অত্যধিক খাওয়া উচিত নয়। অত্যধিক আহার করলে লিভারটিকে অত্যধিক ঘাটতে হয়। এইজন্য সর্বদাই রোগীর একটু খিদে রেখে খাওয়া উচিত এবং সকল খাদ্যই বিশেষভাবে চিবিয়ে গ্রহণ করা কর্তব্য।